ধারণক্ষমতা থাকলে ৪৫ লাখ ক্রোয়েশিয়ানই মাঠে আসতেন: র‌্যাকিটিচ


আর মাত্র একদিন পরেই বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ। মুখোমুখি হবে একবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ও প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলা ক্রোয়েশিয়া। আর্থ-সামাজিক অবস্থা, ফুটবলের অভিজ্ঞতা বা মানসিক শক্তি; সব ক্ষেত্রেই অপেক্ষাকৃত দুর্বল ক্রোয়েশিয়া। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচ নিয়ে অনেকটাই আবেগী হয়ে উঠেছেন দলের দুই কাণ্ডারি মিডফিল্ডার ইভান র‌্যাকিটিচ ও লুকা মদ্রিচ। সেই আবেগী সুরই ভেসে উঠলো র‌্যাকিটিচের কথায়।

এই বার্সেলোনা তারকা বলেছেন, এটা আমাদের জন্য ঐতিহাসিক একটা ম্যাচ। শুধু আমরা ১৩-১৪ জন খেলব না, আমাদের সাথে খেলবে পুরো ক্রোয়েশিয়া। মাঠে থাকবে ৪৫ লাখ মানুষও!

তিনি বলেন, গত এক মাসে ক্রোয়েশিয়ার মানুষ যে আনন্দে কাটিয়েছে, সেটা আসলে ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। একসাথে তারা হেসেছে, কেঁদেছে, আনন্দ উল্লাস করেছে, এটা এক কথায় অসাধারণ। যদি ৪৫ লাখ মানুষের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়াম থাকত, তা হলে তো তারা সবাই খেলা দেখতে চলে আসত।’

রাকিটিচ জানান, মস্কোর লুজনিকিতে যখন জাতীয় সঙ্গীত বাজবে, মাঠে নামা ক্রোয়েশিয়ার ১১ জনের সাথে গাইবে স্টেডিয়ামে থাকা হাজারো সমর্থক, গাইবেন দেশে থাকা সাড়ে ৪৫ লাখ ক্রোয়েশিয়ানও।

১৯৯৮ সালে এসেই বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ক্রোয়েশিয়া। দিদিয়ের দেশমদের ফ্রান্সের কাছে হেরেই সেমিফাইনালে বিদায় নিতে হয় ডেভর সুকারের ক্রোয়েশিয়াকে। ২০ বছর পর নিজেদের ইতিহাসের প্রথম ফাইনালে সেই দেশমদেরই পাচ্ছে ক্রোয়াটরা।

ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে নকআউট পর্বের তিন ম্যাচেই পিছিয়ে থেকে জিতেছে ক্রোয়েশিয়া। টানা তিন ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে খেলে স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত ক্রোয়াটরা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে তো জ্বর নিয়েই খেলেছিলেন রাকিটিচ। ক্লান্ত থাকলেও নিজেদের সব শক্তি এই ম্যাচে কাজে লাগাতে চান তিনি, ‘ক্লান্ত থাকলেও শক্তি ও গতির কোনো কমতি হবে না। আমরা একে অন্যের পাশে থাকব। ম্যাচ শেষে আমরা আফসোস করতে চাই না যে একটু বেশি চেষ্টা করলে অন্য কিছু হতে পারত। আর বিশ্বকাপ জিততে হলে একটু ভাগ্যেরও দরকার। আশা করি সেটা আমদের পক্ষেই থাকবে।’